পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ইসহাক দার তার নির্ধারিত বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছেন। বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির কারণে উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী ২৭-২৮ এপ্রিল তারিখে বাংলাদেশ সফর করতে পারছেন না।’
সফরের নতুন সময় পারস্পরিক আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা হবে বলেও এতে উল্লেখ করা হয়।
কূটনৈতিক সূত্র বলছে, এই সফর স্থগিতের নেপথ্যে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের সাম্প্রতিক উত্তেজনা একটি বড় ভূমিকা রাখছে।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) ভারতের নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পাহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের অধিকাংশই ছিলেন দেশি-বিদেশি পর্যটক। এ ঘটনায় দিল্লি-ইসলামাবাদ সম্পর্ক ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
ভারতের পুলিশ হামলায় জড়িত সন্দেহে তিন জঙ্গির নাম প্রকাশ করেছে, যাদের মধ্যে দু’জনকে পাকিস্তানি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এ দাবির পক্ষে ভারত সরকার এখনো কোনো প্রমাণ হাজির করেনি।
কাশ্মীর হামলার জেরে ভারত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়। এর আগের দিন (২৩ এপ্রিল) পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পাঁচটি শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয় ভারত– যার মধ্যে সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিত, আটারি সীমান্তে চেকপোস্ট বন্ধ এবং হাই কমিশনের কর্মীসংখ্যা হ্রাসের সিদ্ধান্ত রয়েছে।
এর জবাবে পাকিস্তান ভারতের বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের জন্য আকাশপথ বন্ধের পাশাপাশি পানি চুক্তি স্থগিতের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।
পাকিস্তান বলছে, কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারতের প্রতিক্রিয়াগুলো অতি-প্রতিক্রিয়াশীল এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি।
এই প্রেক্ষাপটে পাক উপ-প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর স্থগিত হলো। দৃশ্যত, কাশ্মির হামলার জেরে দক্ষিণ এশিয়ার কূটনৈতিক অঙ্গনে নতুন উদ্বেগ জন্ম দিয়েছে।