কিশোরগঞ্জে আইএফআইসি ব্যাংক কুলিয়ারচর উপশাখার সব কর্মকর্তা-কর্মচারী রোববার দুপুরে একযোগে অচেতন হয়ে পড়েন। পুলিশ নানারকম তথ্য ও আলামত যাচাইয়ের পর নিশ্চিত হতে পারেনি ঘটনার কারণ সম্পর্কে। তবে ব্যাংক থেকে ‘কিছুই লুট হয়নি’ এমন ধারণা মিলেছে প্রাথমিক তদন্তে।
ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিব এ বিষয়ে বলেন, ‘ব্যাংকের ভল্ট ও ক্যাশবাক্স ঠিক পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্ত শেষে মনে হচ্ছে, বিষাক্ত কোনো গ্যাসের কারণে তারা অসুস্থ হতে পারেন। চিকিৎসকেরাও এমনটা মনে করছেন। ঘটনার মোটিভ স্পষ্ট নয়। সিসি ফুটেজ সংগ্রহের চেষ্টা চলছে, তা দেখলে বিষয়টি স্পষ্ট হওয়া যাবে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুলিয়ারচরে আইএফআইসি ব্যাংকের উপশাখার কার্যালয় অবস্থিত থানা সড়কের হাবিব কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় তলায়। বাজিতপুর উপজেলা মূল শাখার অধীনে তিন বছর ধরে এ উপশাখা পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা মাত্র ছয়জন। রোববার দুপুরে তাদের সবাইকে একযোগে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে তিনজন বমিও করেছেন। তবে অচেতন হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কোনো গ্রাহক নেই।

অসুস্থ ছয়জনের মধ্যে শাখা ব্যবস্থাপক সৌমিক জামান খান ও নিরাপত্তাকর্মী কামাল হোসেনকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, পরে তাদের স্থানান্তর করা হয় জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অন্য চারজনকেও সেখানে নেওয়া হয়।
সব স্টাফের একযোগে অসুস্থতার খবর পেয়ে দুপুরেই বাজিতপুর শাখার কয়েকজন কর্মকর্তা পৌঁছে ব্যাংকের শাখাটি তালাবদ্ধ করে রাখেন।
কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিহা ফাতেমাতুজ জোহরা সাংবাদিকদের বলেন, ‘যতটুকু জানতে পেরেছি, প্রথমে বমি করতে করতে সবাই চেতনা হারিয়ে ফেলেন। পরে তাদের অক্সিজেন লেবেল কমতে শুরু করে। হাসপাতালে নিয়ে দ্রুত অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়।’
‘অসুস্থ ব্যক্তিদের জ্ঞান ফিরতে শুরু করেছে। তবে কথা বলার পর্যায়ে তারা নেই। তাদের সঙ্গে কথা বলা গেলে এবং তদন্ত শেষ করার পর সবকিছু পরিষ্কারভাবে বলা যাবে।’