তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় একজন শিক্ষার্থীকে আটক করেছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তাকে মুচলেকার মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বোতল নিক্ষেপকারী ঐ শিক্ষার্থীর নাম ইশতিয়াক হুসাইন। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। ইশতিয়াক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
পুলিশ আটক ও মুক্তির সময়ে যুবকের নাম প্রকাশ করেনি। এদিকে মুক্তি পাওয়ার আগে অভিভাবকসহ শিক্ষার্থী দেখা করেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সঙ্গে। তারা একসাথে ছবিও তোলেন। ‘অনিচ্ছাকৃত ভুলের’ জন্য শিক্ষার্থী উপদেষ্টার কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছেন। উপদেষ্টা মাহফুজ তাকে পরে বাসায় যাওয়ার জন্য দাওয়াত দেন।
বোতল নিক্ষেপ ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বৃহস্পতিবার রাতে আটকের পর ইশতিয়াককে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে এক ফেসবুক ম্যাসেজের মাধ্যমে এক যুবককে আটকের তথ্য নিশ্চিত করা হয়। পরে তাকে মুক্তি দেওয়ার কথাও জানায় পুলিশ।
ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, ‘আটক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’

উপদেষ্টার ওপর পানির বোতল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে বুধবার রাত দশটার দিকে। তখন কয়েকটি দাবিতে আন্দোলনরত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে কাকরাইল মসজিদের সামনে গিয়েছিলেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। কথা বলার একপর্যায়ে একটি প্লাস্টিকের পানির বোতল উড়ে এসে উপদেষ্টার মাথায় পড়ে। এরপর তিনি আর কথা না বলে সেখান থেকে চলে যান।
পরদিন মাহফুজ আলম রাজধানীর একটি হাসপাতালে গিয়ে মাথার সিটিস্ক্যান করান, বোতলের আঘাত গুরুতর নয় বলে চিকিৎসকরা মত দেন।

বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় উপদেষ্টার পক্ষ থেকে আইনী পদক্ষেপ না নেওয়া হলেও পুলিশ তৎপর হয় বোতল নিক্ষেপকারীকে শনাক্ত ও আটকের বিষয়ে। তারই ধারাবাহিকতায় যুবককে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে ডিবি।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, বোতল নিক্ষেপের কথা স্বীকার করেছেন ইশতিয়াক। রাগের বশে বোতল ছুঁড়ে মারলেও, উপদেষ্টা তার টার্গেট ছিলেন না বলে জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেন ঐ শিক্ষার্থী। উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে ক্ষমা চেয়েছেন শিক্ষার্থী। পরে তাকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।