সোমবার বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কার্যালয়ে শুরু হয়েছে পরিচালকদের বোর্ড সভা। নতুন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বাধীন পরিচালনা পর্ষদের এই সভায় মোট ৪০টি এজেন্ডা নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। সভাতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আগামী আসরের সময় নির্ধারণের বিষয়টি নিয়েও সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে জানা গেছে। এর মধ্য বিপিএলের আগামী আসরের জন্য ‘নোয়াখালী রয়্যালস’ নামে দল পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ‘সায়ান্স গ্লোবাল’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
গত ২৪ জুন বিপিএলের চেয়ারম্যান বরাবর করা এক আবেদনের মাধ্যমে আগামী আসরের জন্য দল পেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে আজ সশরীরে বিসিবি কার্যালয়ে এসেছিলেন ‘সায়ান্স গ্লোবাল’-এর ম্যানেজিং পার্টনার আহমেদ জামিল। লন্ডন প্রবাসী এই ব্যবসায়ী সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিসিবির একটা বোর্ড মিটিং আছে। সেই মিটিংয়ের পর জানা যাবে নতুন করে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক তারা নেবেন কিনা। আর নিলেও এরপর দরকারি কাগজপত্র কী কী দরকার উনারা আমাদের জানাবেন।’
‘আমরা আমাদের দিক থেকে পুরোপুরি প্রস্তুত, যে ডকুমেন্টেশনগুলো লাগে, এগুলো আমাদের জানা আছে, আমরা তৈরি করে রেখে দিয়েছি। আশা করি, আমাদের প্রস্তাবটা তাঁরা ইতিবাচকভাবে দেখবেন এবং নোয়াখালীর মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবে।’, আরো বলেন তিনি।
বিপিএলের অনেক আসরেই কেবল ব্র্যান্ডিং কিংবা নাম কামানোর জন্য অনেক দল এসেছে। যাদের এক মৌসুম পর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বিপিএলের মঞ্চে। সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে বিপিএলে যুক্ত হতে চাওয়ার উদ্দেশ্যে নিয়ে জামিল আরো বলেন, ‘ নোয়াখালীর মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে আমরা এসেছি। আপনারা সবাই জানেন নোয়াখালী একটা ব্র্যান্ড। আমি নিজে যেহেতু ক্রিকেট ম্যানেজমেন্টের সাথে আছি, অনেক সাবেক ক্রিকেটারও আমাকে চেনেন। অনেকেই বাইরের অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে আমার দলে খেলেছেন। সেদিক হিসেবে আমি কোনো প্রচারের জন্য আসিনি। আর আমরা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়েই আসছি। আমরা চাই বিপিএল যতদিন আছে, নোয়াখালীও ততদিন থাকবে।’
প্রতিষ্ঠানটি দল পেতে আগ্রহ প্রকাশ করলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিসিবি আর বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের হাতে। অপেক্ষা এবার বিপিএলের দল পেতে বিসিবির এক্সপ্রেস অফ ইন্টারেস্ট (ইওআই) অথবা দল নেয়ার বিডিং আহ্বানের। এখন পর্যন্ত ১১টি আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে বিপিএলের। সর্বশেষ আসর ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক ইস্যু, ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ব্যাংক গ্যারান্টি জমা না দেয়া-সহ আরো নানান বিষয়ে বিতর্কিত হয়েছিল। তাই আসন্ন বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি বাছাই নিয়ে বাড়তি সতর্ক থাকবে বিসিবি।