বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান এম কে খায়রুল বাশার বাহারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সোমবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদিন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মানিলন্ডারিং মামলায় বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান বাশারকে সিআইডির ফিন্যান্সিয়াল ক্রাইম টিম গ্রেপ্তার করেছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন।’
২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর ক্যামব্রিয়ান এডুকেশন গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান মো. খায়রুল বাশার বাহার এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের শাস্তির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে রুমন আলী লস্কর নামের একজন শিক্ষার্থী এক লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা, আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া এবং পৃথিবীর উন্নত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য প্রলোভন দেখিয়ে আমাদের থেকে টাকা গ্রহণ করে। কলেজে সেশন ফি বাবদ যে টাকা দেওয়া হয়, বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে ওই কলেজের সেশন ফি প্রদান করতে হয়। কিন্তু সেটি তারা না করে মানি লন্ডারিং আইন-বহির্ভূত কাজ করে। সেই টাকা আমাদের থেকে নিয়ে তারা আত্মসাৎ করেছে। মূলত সেই কলেজের টাকা স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠানোর নিয়ম। কিন্তু সেটি তারা না করে বিদেশি কলেজগুলোর ভুয়া অফার লেটার তৈরি করে, টাকা না পাঠিয়ে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’
‘আমাদের মতো ভুক্তভোগীর সংখ্যা প্রায় সহস্রাধিক ও প্রত্যেকের পাওনা টাকার পরিমাণ গড়ে ২০ লাখ টাকা। বিএসবি গ্লোবাল নেটওয়ার্কের দেওয়া লিস্ট অনুযায়ী ৮৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে আমাদের ধারণা, এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর ২০০ কোটি টাকা তারা আত্মসাৎ করেছে,’ যোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান, গত আগস্টের ২৭ তারিখে বিএসবি চেয়ারম্যান বাশার ও পাওনাদারদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে স্ট্যাম্প পেপারে চুক্তি সই করে যে, পাওনা টাকা ৩ কিস্তিতে যথাক্রমে ২৩ সেপ্টেম্বর, ২২ অক্টোবর ও ২৫ নভেম্বরে সবাইকে পরিশোধ করবেন। কিন্তু প্রথম কিস্তি পরিশোধের দিন (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪) অর্থ প্রদানে ব্যর্থ হয় ও তার গুণ্ডাবাহিনী দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। সেখানে অনেক শিক্ষার্থী আহত হন, যা গুলশান থানা পুলিশ অবগত করা হয়।