চলতি ২০২৫- ২৬ অর্থবছরে স্বাভাবিক ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের জন্য অনলাইনে আয়কর রিটার্ন (ই-রিটার্ন) দাখিল বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। কার্যক্রমের প্রথম দিনেই রেকর্ডসংখ্যক ১০ হাজার ২০২ জন করদাতা রিটার্ন জমা দিয়েছেন।
রোববার (৪ আগস্ট) অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এই কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। পরদিন মঙ্গলবার সকালে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) জানিয়েছে, এবারের প্রথম দিনের রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি।
২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ই-রিটার্ন চালুর প্রথম দিনে রিটার্ন দাখিল হয়েছিল ২ হাজার ৩৪৪টি।
এর আগে ৩ আগস্ট এক বিশেষ আদেশে এনবিআর ২০২৫–২৬ করবর্ষের জন্য ই-রিটার্ন বাধ্যতামূলক করে। এনবিআরের মতে, এই নির্দেশনার পরই উল্লেখযোগ্য হারে করদাতারা সাড়া দিচ্ছেন।
আদেশ অনুযায়ী, ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব প্রবীণ, শারীরিকভাবে অক্ষম বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, বিদেশে অবস্থানরত, এবং মৃত করদাতার পক্ষে আইনগত প্রতিনিধি—এই চার শ্রেণির বাইরে সকল ব্যক্তিকেই বাধ্যতামূলকভাবে ই-রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
রিটার্ন জমা দিতে হবে এনবিআরের www.etaxnbr.gov.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।
তবে, অনলাইন রিটার্ন দাখিলে কেউ অক্ষম হলে, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যথাযথ কারণ দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট উপকর কমিশনারের কাছে আবেদন করতে পারবেন। অতিরিক্ত বা যুগ্ম কর কমিশনারের অনুমোদন সাপেক্ষে তারা কাগজে রিটার্ন জমা দেওয়ার সুযোগ পাবেন।
গত বছর আংশিকভাবে ই-রিটার্ন বাধ্যতামূলক করার পর ১৭ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন জমা দিয়েছিলেন।
এ বছর করদাতারা বাসা থেকেই ব্যাংক ট্রান্সফার, ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড, কিংবা বিকাশ, রকেট, নগদের মতো মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের মাধ্যমে কর পরিশোধ করতে পারছেন।
রিটার্ন দাখিলের সঙ্গে সঙ্গেই অনলাইনে রসিদ ও আয়কর সনদ ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা যাচ্ছে। প্রয়োজনে এনবিআরের কলসেন্টার ও অনলাইন সহায়তা কেন্দ্র থেকে তাৎক্ষণিক সহায়তাও মিলছে।