ইসরায়েলি বিমান হামলায় বুধবার ভোরে কেঁপে ওঠে ইরানের রাজধানী তেহরান। হামলার ষষ্ঠ দিনে একটি বিস্ফোরণ হয় হাকিমিয়ে এলাকায়, যেখানে ইরানের এলিট বাহিনী রেভল্যুশনারি গার্ডের একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ইসরায়েল দাবি করেছে, ইরানের পরমাণু সক্ষমতা ধ্বংস করতে তারা এই বিমান হামলা চালিয়েছে। হামলার পর সাধারণ মানুষ যখন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ঘর ছেড়ে পালাতে দেখা যায়।
একদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ’-এর আহ্বান জানানোর পাশাপাশ এবং দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে
নিয়ে হুঁশিয়ারি দেন।
ইসরায়েলের হামলায় ইতোমধ্যে ইরানে ২২৪ জন নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে সেনা সদস্যরাও রয়েছেন।
ইসরায়েল আরও দাবি করেছে, তেহরানে চালানো হামলায় জেনারেল আলি শাদমানিকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ছিলেন রেভল্যুশনারি গার্ডের খাতাম আল-আনবিয়া সেন্ট্রাল হেডকোয়ার্টারের প্রধান। এক সপ্তাহ আগেই রেভল্যুশনারি গার্ডের আরেক প্রধান, জেনারেল গোলাম আলি রাশিদ নিহত হন।
ইরানও পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় শত শত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন ইসরায়েলের দিকে ছুঁড়েছে, এর ফলে এ পর্যন্ত সে দেশে ২৪ জন নিহত ও শতাধিক জন আহত হয়েছেন। জেরুজালেম ও তেল আবিবে আকাশে ইসরায়েলের আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে দেখা গেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের এমন অশান্ত পরিস্থিতির মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একের পর এক পোস্টে ইরানকে কড়া বার্তা দিয়ে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তেমনই এক পোস্টে ইরানের প্রতি ‘নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের’ আহ্বান জানান তিনি।
ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা এখন ইরানের আকাশসীমার সম্পূর্ণ ও সর্বাত্মক নিয়ন্ত্রণে রয়েছি। মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত যুদ্ধবিমান পাঠানো হয়েছে।’
এর আগে, ট্রাম্প ইরানি নাগরিকদের যত দ্রুত সম্ভব রাজধানী তেহরান ছেড়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।
এদিকে, গাজা উপত্যকায় চলমান অভিযানেও ইসরায়েল প্রতিদিন ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালাচ্ছে, যেখানে বহু মানুষ খাদ্য সহায়তা নেওয়ার সময় নিহত হচ্ছেন।
ফলে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত ক্রমেই জটিল ও বিস্তৃত হয়ে উঠছে।