‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ’ হবে ৬৪ জেলায়

টাইমস রিপোর্ট
3 Min Read
সোমবার (১৪ জুলাই) গণভবনে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

দেশের ৬৪ জেলায় জুলাই আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সারওয়ার ফারুকী।

সোমবার (১৪ জুলাই) গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ তথ্য জানান।

মোস্তফা সারওয়ার ফারুকী বলেন, ‘আগামী ৫ আগস্ট গণভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের উদ্বোধন করা হবে। সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য তা পরবর্তীতে উন্মুক্ত করা হবে। আর জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ সব জেলায়। নারায়ণগঞ্জ থেকে স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে , আগামী ৪ আগস্টের মধ্যে সবগুলো স্মৃতিস্তম্ভ শেষ করার লক্ষ্য রয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, ‘এই স্মৃতিস্তম্ভগুলো হবে লেখানির্ভর, কারণ জুলাই আন্দোলন মূলত স্লোগান, কবিতা, বিবৃতি ও লেখার মাধ্যমে পরিচালিত হয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে শহীদদের আত্মত্যাগকে পৌঁছে দিতেই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

‘আর ৫ আগস্ট গণভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের উদ্বোধন করা হবে, যদিও সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য তা পরবর্তীতে উন্মুক্ত করা হবে।’

সংস্কৃতি উপদেষ্টা বলেন, ‘একজন দর্শনার্থী জাদুঘরে প্রবেশ করার পর তিনি যেন উপলব্ধি করতে পারেন- কেন হলো জুলাই বিপ্লব , আওয়ামী লীগের দুঃশাসন এবং অভ্যুত্থানের স্মৃতি। শেখ হাসিনা ও তার সহযোগীদের অপরাধের বিচার আদালত করবে কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য হলো একজন দর্শনার্থী জাদুঘরে এসে যেন শেখ হাসিনার অপরাধের বিচার নিজের বিবেক দিয়ে করতে পারেন।’

জুলাই স্মৃতি জাদুঘর পরিচালনার জন্য একটি আইনি কাঠামো দাঁড় করানো হবে বলেও জানান তিনি।

ফারুকী জানান, সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আয়োজনে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এরপর চীনা দূতাবাসের সহযোগিতায় ড্রোন প্রদর্শনীতে আওয়ামী শাসনের ১৬ বছরের দমন-পীড়নের চিত্র তুলে ধরা হবে। অনুষ্ঠান শেষে ছাত্রীদের নেতৃত্বে একটি প্রতীকী ‘থালা-বাটি মিছিল’ অনুষ্ঠিত হবে, যা ২০২৪ সালের জুলাই মাসের গণআন্দোলনকে স্মরণ করতে আয়োজন করা হচ্ছে। পুরো অনুষ্ঠানটি শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে স্থাপিত একটি ডিজিটাল স্ক্রিনে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

রাজধানীর বাইরের কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে ফারুকী জানান, ১৬ জুলাই রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ আবু সাঈদ ও অন্যান্যদের স্মরণে শ্রদ্ধা জানাবেন উপদেষ্টারা। চট্টগ্রামে ওই দিন কাজীর দেউড়ি স্টেডিয়ামে ঢাকা-চট্টগ্রামের শিল্পীদের অংশগ্রহণে একাধিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে, যার পর্দা নামবে ড্রোন আর্ট প্রদর্শনীর মাধ্যমে।

উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ সংবাদ সম্মেলনে জানান, জুলাই বিদ্রোহে অংশগ্রহণকারী নারী মুক্তিযোদ্ধাদের একটি পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের কাজ শুরু হয়েছে। ‘জুলাই কন্যা’ শিরোনামে একটি বিশেষ কর্মসূচির আওতায় নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Share This Article
Leave a comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *