গুরুতর পেটের চোটে অস্ত্রোপচারের পর বর্তমানে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ইনডাক্কড কোমায় রয়েছেন নটিংহ্যাম ফরেস্টের নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড তাইয়ো আওনিয়ি।
গত রোববার লেস্টার সিটির বিপক্ষে ২–২ গোলে ড্র হওয়া ম্যাচের শেষ মুহূর্তে পোস্টে আঘাত পান ২৬ বছর বয়সী এই ফুটবলার। গোলের সুযোগ নিতে গিয়ে সংঘর্ষে পড়েন এবং তীব্র যন্ত্রণায় মাঠ ছাড়েন। ফরেস্ট তখন অস্থায়ীভাবে দশজন নিয়ে খেলতে বাধ্য হয়।
ক্লাবের পক্ষ থেকে মঙ্গলবার জানানো হয়, সময়মতো অস্ত্রোপচার না হলে এই আঘাত প্রাণঘাতীও হতে পারত। তবে সফল অস্ত্রোপচারের পর আওনিয়ির শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। হৃদস্পন্দনের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চিকিৎসকেরা তাঁকে কৃত্রিম কোমায় রেখেছেন। বুধবার আরও একটি অস্ত্রোপচারের পর তাঁকে ধীরে ধীরে জাগিয়ে তোলা হবে বলে জানা গেছে।
নটিংহ্যাম ফরেস্টের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এই ঘটনা আমাদের আবার মনে করিয়ে দিল, খেলাধুলায় শারীরিক ঝুঁকি কতটা বাস্তব। আমাদের ক্লাব সব সময় খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখে।”
বিবৃতিতে ক্লাবের মালিক ইভানগেলোস মারিনাকিস ও কোচ নুনো এস্পিরিতো সান্তোর মধ্যে কথিত দ্বন্দ্বের গুঞ্জনকে “ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর” বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। বরং মাঠে মারিনাকিসের আবেগী উপস্থিতিকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে একজন মালিকের মানবিক উদ্বেগ হিসেবে। “মাঠে পড়ে যাওয়া খেলোয়াড়ের যন্ত্রণাদায়ক দৃশ্য তাকে তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে নামতে বাধ্য করেছিল,” বলা হয় বিবৃতিতে।
সামাজিক মাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়ানো এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য না করার আহ্বান জানিয়েছে ক্লাবটি। “এ ধরনের বিভ্রান্তিকর আচরণ আহত খেলোয়াড়ের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর,” উল্লেখ করা হয়।
প্রতিপক্ষ ও সমর্থকদের কাছ থেকে আওনিয়ির জন্য ইতিমধ্যেই শুভকামনা ভেসে এসেছে। মাঠে ফিরবেন কি না, সেটা ভবিষ্যতের প্রশ্ন হলেও, আপাতত ক্লাব ও ভক্তদের দৃষ্টি তার সুস্থতার দিকেই।