জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, চোর, বাটপার, চাঁদাবাজ ও হুমকিদাতাদের নাম–ঠিকানাসহ তালিকা দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে প্রকাশ করা হবে।
শুক্রবার রাতে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে বিচার সংস্কার ও গণ পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের দাবিতে আয়োজিত রাজনৈতিক কর্মশালা ও সমন্বয় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘পঞ্চগড় জেলা ছাত্রদল এখন স্কুলগুলোতে কমিটি দিচ্ছে। শেখ হাসিনা বা ছাত্রলীগ যে কাজ করার সাহস পায়নি, তা করছে ছাত্রদল।’
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ‘চব্বিশ-পরবর্তী বাংলাদেশে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির নামে লেজুড়বৃত্তি চলবে না।’ তার অভিযোগ, ‘আহ্বায়ক কমিটির নামে বিএনপির অযোগ্য নেতারা সভাপতি হয়ে পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে, যা অতীতে আওয়ামী লীগের লোকেরা করেছে।’
সভায় এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার বলেন, ‘এখন আমাদের সামনে ডু অর ডাই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হয় আমরা থাকব, না হয় গণহত্যাকারী ও তাদের সহযোগীরা থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার জন্য নানা চেষ্টা চলছে, তবে এনসিপির অবস্থান পরিষ্কার—যারা বাংলাদেশবিরোধী, যেমন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি, তারা রাজনীতি করার সুযোগ পাবে না।’
তিনি গণ অভ্যুত্থানের পর থেকেই নতুন সংবিধানের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তার মতে, আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর ১৯৭২ সালের সংবিধান চাপিয়ে দিয়েছিল, যেখানে এক ব্যক্তি ও এক দলের হাতে সব ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত ছিল। বর্তমানে যে নির্বাচন আয়োজন করা হচ্ছে, সেটিও একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর উদ্দেশ্যে।
তিনি বলেন, ‘দেশ পরিচালনার জন্য গণ পরিষদ নির্বাচন করে নতুন সংবিধান প্রণয়ন জরুরি।’
অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়ের এনসিপি ও জাতীয় যুব শক্তির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।