এ বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল)। এবার সারাদেশে প্রায় ১৯ লাখ ২৮ হাজার শিক্ষার্থী এবারের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি। কমিটি জানিয়েছে, পরীক্ষাকালীন প্রশ্নফাঁস, গুজব, নকল বা অন্য কোনো অসদুপায় অবলম্বন করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমিটির নির্দেশনায় জানানো হয়েছে, পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্র ও তার আশপাশে পরীক্ষার্থী এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। ফটোকপি মেশিন বন্ধ থাকবে এবং জারি থাকবে ১৪৪ ধারা। পরীক্ষার সময় (১০ এপ্রিল থেকে ১৩ মে পর্যন্ত) সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বছর দেশব্যাপী পরীক্ষায় স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
পরীক্ষার্থীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা:
- পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে নিজ নিজ আসন গ্রহণ করতে হবে।
- প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা শুরু ও শেষ হবে।
- আগে বহুনির্বাচনী এবং পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে, এর মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
- প্রবেশপত্র পরীক্ষার কমপক্ষে তিন দিন আগে নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে হবে।
- শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান, খেলাধুলা ও ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়ে ধারাবাহিক মূল্যায়নের নম্বর প্রতিষ্ঠান থেকে কেন্দ্রে পাঠাতে হবে এবং তা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে।
- উত্তরপত্রে সঠিকভাবে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ও বিষয় কোড পূরণ করে ওএমআর ফরম পূরণ করতে হবে। উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
- বহুনির্বাচনী, সৃজনশীল ও ব্যবহারিক—তিনটি অংশেই পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
- কেবল নিবন্ধনপত্রে উল্লিখিত বিষয়েই পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে।
- কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা তার নিজ বিদ্যালয়ে হবে না, স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন নির্ধারণ করা হবে।
- পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে।
- কেন্দ্রসচিব ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে না।
- ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে।
- একই উপস্থিতিপত্র ব্যবহার করে সব পরীক্ষায় উপস্থিত থাকতে হবে।
- পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।