ইরান আবারও নতুন করে ইসরায়েলের ওপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। টানা নবম দিনের মতো সংঘাতে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য।
আল জাজিরা ও বিবিসি’র খবরে বলা হয়, শনিবারের হামলায় কেন্দ্রীয় শহর হোলোনে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েল ইরানের ইসফাহান অঞ্চলে পাল্টা হামলা চালিয়েছে। সেখানে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে।
এক টেলিভিশন ভাষণে ইসরায়েলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির জানান, জাতীয় নিরাপত্তার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এবং দেশকে ‘দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি বলেন, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং কূটনীতির পথ এখনো উন্মুক্ত। তবে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধ চাই না, তবে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমরা প্রতিরোধ করব।’
ইরানি রেভল্যুশনারি গার্ডস (আইআরজিসি) জানায়, এটি ছিল ইসরায়েলের ওপর তাদের ১৮তম হামলা। হামলায় বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরের আশপাশে সামরিক ঘাঁটি ও সমর্থন কেন্দ্রগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
তারা দাবি করে, এ হামলায় শাহেদ-১৩৬ ড্রোন ও বিভিন্ন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে এবং ‘সর্বাধুনিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও এগুলো আটকাতে পারেনি।’
ইসরায়েল জানায়, ইরানের ড্রোন ইউনিটের কমান্ডার আমিন জোদখি নিহত হয়েছেন।
এছাড়া, নাতাঞ্জ পারমাণবিক কেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলার পর আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ডকে ভর্ৎসনা করে বলেছেন, ‘আমরা জানি তারা কী করছে।’
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এই সংকট নিয়ে জরুরি বৈঠক আহ্বান করতে যাচ্ছে।