আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধের উদ্যোগের প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শফিকুল আলম বলেছেন, তাদের অপরাধ ‘সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত’ হয়েছে। দলটির কার্যক্রম নিষিদ্ধ হলে ‘বিশ্বে তেমন কোনো প্রতিক্রিয়া’ হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার এক ফেসবুক পোস্টে প্রেস সচিব এসব কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ‘জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনের প্রতিবেদনে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগ ও তাদের নেতৃত্ব, দলীয় কর্মী ও সহযোগী সংগঠনসমূহ মানবতাবিরোধী অপরাধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছে। তারা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে করেছে পুরোপুরি ধ্বংস। এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক লুট করে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছে বিদেশে।’
‘এমন একটি খুনে, দুর্নীতিপরায়ণ ও গণতন্ত্রবিরোধী দলের পক্ষ নিয়ে বিশ্বের কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সমর্থন আশা করা যুক্তিযুক্ত নয়। ফলে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ার পর কোনো বড় ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া হবে বলে আমরা মনে করি না,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমার মনে হয় না, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় বিশ্ববাসী বিশেষভাবে মর্মাহত হবে। বরং এই নিষেধাজ্ঞা ছিল জাতীয় নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায়, জুলাই আন্দোলনের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলার বাদী ও সাক্ষীদের সুরক্ষার স্বার্থে অত্যাবশ্যক।’
বক্তব্যের সমর্থনে যুক্তি তুলে ধরে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা দেখেছি, পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও জাতির স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ড ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার কারণে কখনো কখনো শুধু রাজনৈতিক দল নয়, সম্পূর্ণ রাজনৈতিক মতাদর্শকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি ও ইতালিতে নাৎসি ও ফ্যাসিস্ট দল নিষিদ্ধ করা হয়। স্পেন ও বেলজিয়ামে বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যক্রমে জড়িত কিছু দলকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে’, উল্লেখ করেন তিনি।