আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে নারীদের লেখা বই সরিয়ে দিয়েছে তালেবান সরকার। এছাড়া তালেবান সরকারের নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে মানবাধিকার ও যৌন হয়রানি বিষয়ক পাঠদানও।
‘শরিয়াবিরোধী ও তালেবান নীতির পরিপন্থী’ বলে চিহ্নিত করা নিষিদ্ধ তালিকার মোট বইয়ের সংখ্যা ৬৮০টি। এর মধ্যে নারীদের লেখা বই প্রায় ১৪০টি।
বিবিসি জানিয়েছে, আফগানিস্তানের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৮টি বিষয় আর পড়ানো যাবে না বলে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে তালেবানের এক কর্মকর্তা জানান, এসব বিষয় “শরিয়াহ ও কাঠামোর নীতির” সঙ্গে সাংঘর্ষিক’।
চার বছর আগে ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। সেদিন দ্বিতীয়বারের মতো কাবুলের ক্ষমতায় বসে তালেবান। ক্ষমতায় আসার পর থেকে তাদের জারি করা বিধিনিষেধের মধ্যে নতুন সংযোজন এবারের নিষিদ্ধের তালিকা।
সম্প্রতি তালেবানের সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশে দেশটির অন্তত ১০টি প্রদেশে ফাইবার-অপটিক ইন্টারনেট নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অনৈতিক কর্মকাণ্ড রোধের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালেবান সরকারের কর্মকর্তারা।
তালেবান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে নানা বিধিনিষেধের বেড়াজালে পড়ে আফগান জনগণ, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় নারীরা। ষষ্ঠ শ্রেণির পর থেকে সেখানে নারীদের শিক্ষাগ্রহণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে আর ২০২৪ সালের শেষ দিকে গিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয় ধাত্রীবিদ্যা কোর্স। তাতে পেশাগত প্রশিক্ষণের শেষ সুযোগটিও হারায় সেখানকার নারীরা।
তালেবান সরকারের নিষিদ্ধ করা ১৮টি বিষয়ের মধ্যে ছয়টিই পুরোপুরি নারী বিষয়ক। এর মধ্যে রয়েছে জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, দ্য রোল অব উইমেন ইন কমিউনিকেশন এবং উইমেনস সোসিওলজি নামক বিষয় রয়েছে।
তবে তালেবান সরকারের দাবি, আফগানিস্তানের সংস্কৃতি ও শরিয়ার ব্যাখ্যা অনুযায়ী নারী অধিকারকে সম্মান করে তারা।